@@@আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা@@@@@@
ভাই আপনার প্রশ্ন টা ছিল------
প্রশ্ন ঃ- "হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ জামাতা আলী রা. কে ২য় বিবাহ করতে মানা করেন,অথচ রাসুল সা.নিজে একাধিক বিবাহ করেছিলেন।
তাহলে নিজ জামাতা আলী রা.কে কেন মানা করলেন??????(প্রশ্নের ছবি নিচে দেওয়া আছে)
**** যা উক্ত হাদীসের মাধ্যমে বুঝেছেন,আপনি*
**** ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিতে আপনার উক্ত প্রশ্ন পুরা টা ভুল, ইসলামি শরীয়ত সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারনে আপনার মনের গহিনে উক্ত প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
****যাহোক আগে আমরা আপনার প্রশ্ন টা কেন ভুল-তার জবার দিবো, তার পর আপনার উত্তর দিবো-ইনশাআল্লাহ।
@@ উক্ত প্রশ্ন টি ভুল হওয়ার কারন@@
***-আপনি বলেছেন- রাসুল সা.একাধিক বিবাহ করেছেন,তাহলে নিজ জামাতা কে কেন অনুমতি দেন নি???
*** উক্ত প্রশ্ন টি বাতিল হওয়ার কারন হলো- ইসলামি শরীয়ত এর সকল হুকুম আসে সারা জাহানের মালিক-সৃষ্টিকর্তা এক আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে, যেখানে বান্দার কোন হাত নেই।
সুতরাং আল্লাহ তাআলা যেখানে রাসুল সা.এর জন্য একাধিক বিবাহের অনুমতি দিয়েছেন (যার কারন ও আমি নিচে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ) সেখানে সেই আল্লাহর রাসুলের সাথে আল্লাহ বান্দার তুলনা করে প্রশ্ন করা পুরাই অবান্তর।
@@@@ তাছাড়া বান্দার জন্যও তো আল্লাহ তাআলা একাধিক (৪জন) বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছেন, তাহলে বান্দা আলী রা. একাধিক বিবাহ কেন করতে পারবে না এর কোন প্রশ্ন উঠে না,বরং তিনিপ করতে পারবেন,তার জন্যও অনুমতি আছে, এজন্য রাসুলের সা.সাথে তাকে তুলনা করার প্রশ্ন উঠে না।
@@@@ হা-ভাই-
আপনার প্রশ্ন টা হতে পারতো- "ইসলামী শরীয়ত যেখানে একাধিক বিবাহ (৪জন)বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছেন, সেখানে রাসুল সা.নিজ জামাতা কে কেন ২য় বিবাহ করার অনুমতি দিলেন না??
@@@@ ইনশাআল্লাহ আপনার এ প্রশ্নের উত্তর দিবো, তার আগে চলুন যেনে নেই -
রাসুল সা.কেন একাধিক বিবাহ করলেন।
* রাসুল সা.একাধিক বিবাহ করার কারন*
১)স্বয়ং আল্লাহ তাআলা রাসুল সা.কে এ অনুমতি দিয়েছেন,যা শুধু রাসুল সা.এর জন্য খাছ,
এসম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন-
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﺣْﻠَﻠْﻨَﺎ ﻟَﻚَ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟَﻚَ ﺍﻟﻠَّﺎﺗِﻲ ﺁﺗَﻴْﺖَ ﺃُﺟُﻮﺭَﻫُﻦَّ ﻭَﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﻳَﻤِﻴﻨُﻚَ ﻣِﻤَّﺎ ﺃَﻓَﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕِ ﻋَﻤِّﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕِ ﻋَﻤَّﺎﺗِﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕِ ﺧَﺎﻟِﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕِ ﺧَﺎﻟَﺎﺗِﻚَ ﺍﻟﻠَّﺎﺗِﻲ ﻫَﺎﺟَﺮْﻥَ ﻣَﻌَﻚَ ﻭَﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻣُّﺆْﻣِﻨَﺔً ﺇِﻥ ﻭَﻫَﺒَﺖْ ﻧَﻔْﺴَﻬَﺎ ﻟِﻠﻨَّﺒِﻲِّ ﺇِﻥْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺃَﻥ ﻳَﺴْﺘَﻨﻜِﺤَﻬَﺎ ﺧَﺎﻟِﺼَﺔً ﻟَّﻚَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ۗ ﻗَﺪْ ﻋَﻠِﻤْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻓَﺮَﺿْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻓِﻲ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻬُﻢْ ﻟِﻜَﻴْﻠَﺎ ﻳَﻜُﻮﻥَ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺣَﺮَﺝٌ ۗ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ [ ٣٣: ٥٠ ]
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি,যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি,যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি,ফুফাতো ভগ্নি,মামাতো ভগ্নি,খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে,নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল,দয়ালু। [সূরা আহযাব ৩৩: ৫০]
**** সুতরাং ইহা রাসুলের জন্য খাছ,উম্মতের জন্য না।
২) রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর যৌবনের প্রাইম টাইম একজন মাত্র স্ত্রী(আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা রা.)এর সাথেই কাটিয়েছিলেন – ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁর একজন মাত্র স্ত্রী ছিল।
অথচ সেই সময় (ইসলাম ধর্ম অবতির্ন হওয়ার পূর্বে) বহুবিবাহ করা আরব সমাজে একটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল এবং তিনি চাইলেই তখন একাধিক বিয়ে করতে পারতেন।
আমাদের সমাজে যেমন বিয়ের সময় ছেলেদের যোগ্যতা দেখা হয় – তার পড়াশুনা, চাকরি-বাকরি, আয়-রোজগার দেখা হয়, তৎকালীন আরব সমাজে বিয়ের সময় একটা ছেলে বা মেয়ের একটা বৈশিষ্ট্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ছিল – তা হলো বংশমর্যাদা। রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন আরবের সবচাইতে সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশের সবচাইতে সম্মানিত ও লিজেন্ডারি ব্যক্তিত্ব আব্দুল মুত্তালিব এর সবচেয়ে প্রিয় নাতি। তাই তিনি চাইলে যৌবনে ও নবুয়তির আগে ১০-১২টা বিয়ে করা তার জন্য কোন ব্যাপারই ছিল না, কিন্তু তা তিনি করেন নি।
*** এর দ্বারাও স্পষ্ট হয়ে গেল রাসুল সা. এর একাধিক বিবাহ করা নিজ ইচ্ছায় ছিলো না বরং ইসলামের কল্যানার্থে ছিল।
**** সুতরাং ইহা রাসুলের সা. জন্য খাছ,উম্মতের জন্য না।
৩) বর্তমানে আমরা যে সমাজে বাস করি তাতে বিয়ের উদ্দেশ্য একটাই থাকে – সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী একটা ছেলে / মেয়েকে তার জীবনসঙ্গীর সাথে মিলিয়ে দেয়া।
@@ কিন্তু, আরব সমাজে “রাষ্ট্র” বলে কিছু ছিল না এবং এক গোত্রের সাথে আরেক গোত্রের ঝগড়া-যুদ্ধ লেগেই থাকত। সেকালে সামাজিকভাবে সুরক্ষিত থাকার একমাত্র উপায় ছিল গোত্রবদ্ধ হয়ে চলা, তাই সেই সমাজে বিয়ের আরেকটি অন্যতম কারণ ছিল অন্য পরিবার বা অন্য গোত্রের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন করা।
আর রাসূলুল্লাহ ﷺ যেহেতু আরবদের ৩ হাজার বছরের পুরনো রীতি-নীতিকে পরিবর্তন করে মাত্র ২৩ বছরে সম্পূর্ণ নতুন রাষ্ট্র-ব্যবস্থা ইসলামের প্রবর্তন করছিলেন, কাজেই এটা তার জন্য খুব জরুরী ছিল যে তিনি বিয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন গোত্রের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করবেন।
@@ এই দিক থেকে চিন্তা করলে, বহুবিবাহের অনুমতি রাসূল্ললাহর ﷺ জন্য কোন সুবিধা ছিল না, বরং এটা ছিল সারা জাহানের রাসুল সা.এর উপর মহা দায়িত্ব।
******** সুতরাং ইহা রাসুলের সা. জন্য খাছ,উম্মতের জন্য না।
৪) রাসূলুল্লাহ ﷺ কখনোই জোর করে কাউকে বিয়ে করেননি। তিনি ﷺ যাদেরকে বিয়ে করেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর স্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। অথবা ইসলামের স্বার্থে মুশরীকদের সাথে জিহাদে যেসব মুশরীক/মুসলিম নেতা ইন্তেকাল করত তাদের স্ত্রী/কন্যাদের সেই বিভীষিকাময় অবস্থায় সন্তনা সরুপ তাদের ইচ্ছায় বিবাহ করেন।
**** তদরুপ রাসূলুল্লাহ ﷺ তো জোর করে কাউকে বিয়ের পরে ধরেও রাখেন নাই। বরং, তাঁর যে কোন স্ত্রী চাইলেই তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারতেন।
" এসম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন -
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদেরকেবলু “তোমরা যদি পার্থিব জীবনেরভোগ ও ব
আর তোমরা যদি আল্লাহ্
, তাঁররাসূল ও পরকাল চাও, তবে তোমাদ
তাদেরজন্য মহাপ্রতিদান প্রস্তুত করের
(সূরা আহযাব ৩৩:২৮–২৯)
****** সুতরাং ইহা রাসুলের সা. জন্য খাছ ছিল ইসলামের স্বার্থে ,উম্মতের জন্য না।
৫)ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর তিনি আর বিয়ে করেন নাই।
আমরা লক্ষ্য করলে দেখব যে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ৭টি বিয়েই হয়েছে ৩য় থেকে ৮ম হিজরীর সময়।
এটা ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জীবনের সবচেয়ে আন্দোলিত সময়, যখন মুসলিমরা বিভিন্ন গোত্রের সাথে যুদ্ধে যাচ্ছে, আবার বিভিন্ন গোত্রের সাথে শান্তিচুক্তি করছে। কাজেই, এই সময় এই বিয়েগুলো ছিল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের অংশ বিশেষ।
রাসুল সা.এর বিবাহ গুলো যদি ইসলামের স্বার্থে না হত, তাহলে তো এর আগে-পরেও তাঁর অনেক বিয়ে করার কথা ছিল।
শুধু তাই না, রাসূলুল্লাহ ﷺ বেঁচেছিলেন ১১ হিজরী পর্যন্ত। কিন্তু, ৭ম হিজরির হুদায়বিয়ার সন্ধি ও হুনাইনের যুদ্ধে বিজয়ের পরে আরব ভূখন্ডে মুসলিমদের একচ্ছত্র আধিপত্য সময়ের ব্যাপারে হয়ে দাঁড়ায় –
** আল্লাহ্ নিজেই সূরা ফাতহ তে হুদায়বিয়ার সন্ধিকে “পরিষ্কার বিজয়” হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আর তাই আমরা দেখতে পাই, ৯ম-১১তম হিজরীতে রাসূলুল্লাহ ﷺ গোত্রভিত্তিক সম্পর্ক উন্নয়নে আর কোন বিয়েও করেননি।
তিনি যদি আসলেই শুধু নিজের চাহিদায় বিয়ে করে থাকতেন তাহলে তিনি ঐ শেষের ২ বছরেও বিয়ে করা করা থামাতেন না।
-******* সুতরাং ইহা রাসুলের সা. জন্য খাছ ইসলামের স্বার্থে উম্মতের জন্য না।
৬)ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর রাসুল সা.সকল স্ত্রীদের অনুমতি দিয়েছিলেন "যে কারো ইচ্ছে হলে চলে যেতে পারে, কিন্তু রাসুল সা.কাউ কে বাদ দেননি।
কারণ
ইসলামি শরীয়তে রাসুল সা.এর স্ত্রীগন হলেন সকল উম্মতের আম্মাজান।সুতরাং কাউ কে বাদ দিলে সে আর কোথায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না,যা তাদের জন্য অত্যন্ত বেদনা দায়ক।তাছাড়া সকল স্ত্রীগন এর ইচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল-আল্লাহ তাআলার হাবীব মুহাম্মাদ সা.এর স্ত্রী হয়ে কাল কিয়ামতের দিন উঠবেন, সেখানে রাসুল সা.কাউ কে বাদ দিয়ে মাহরুম করতে চাননি।
****** সুতরাং ইহা রাসুলের সা. জন্য খাছ ইসলামের স্বার্থে উম্মতের জন্য না।
*-*---*- প্রিয় ভাই - উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্ট হয়েগেল যে রাসুল সা.এর একাধিক বিবাহ করা ছিল ইসলামের স্বার্থে, নিজ স্বার্থে না যদিও রাসুল সা.একাই একশত পুরুষের সমান শক্তি আল্লাহকে তাআলা দান করেছিলেন।
" এজন্য রাসুল সা.কেন একাধিক করলেন আর নিজ জামাতা কে কেন অনুমতি দিলেন না এমন প্রশ্ন ইসলামি শরীয়তে পুরাই অবান্তর, বেহুদা।
""" আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
---------তথ্য সূত্র:
১) শেইখ ইয়াসির কাযীর সীরাহ লেকচার
২) ড. সাল্লাবির সীরাহ বই
৩) শেইখ সাফিউর রাহমান মুবারাকপুরীর সীরাহ বই
৪) দি কোড অফ স্কলারস – শেইখ ইয়াসির বিরজাস
** প্রিয় ভাই এবার চলুন-
ইসলামি শরীয়তে একাধিক বিবাহ করার অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাসুল সা.কেন আলী রা.কে অনুমতি দেন নি??? তা জেনে নেই।
*********উক্ত প্রশ্নের জবাব ***********
@ আপনার উল্লেখীত হাদীস টি হলো--------
৬৭/১১০. অধ্যায়ঃ
কন্যার মধ্যে ঈর্ষা সৃষ্টি হওয়া থেকে বাধা প্রদান এবং ইনসাফমূলক কথা।
** বুখারী শরীফ- হাদীস নং---৫২৩০
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُوا فِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَلاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ إِلاَّ أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّمَا هِيَ بَضْعَةٌ مِنِّي يُرِيبُنِي مَا أَرَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا.
মিসওয়ার ইব্নু মাখরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে মিম্বরে বসে বলতে শুনেছি যে, বনি হিশাম ইব্নু মুগীরাহ, ‘আলী ইব্নু আবূ ত্বলিবের কাছে তাদের মেয়ে বিয়ে দেবার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছে; কিন্তু আমি অনুমতি দেব না, আমি অনুমতি দেব না, আমি অনুমতি দেব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না ‘আলী ইব্নু আবূ ত্বলিব আমার কন্যাকে ত্বলাক দেয় এবং এর পরেই সে তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে পারে। কেননা, ফাতিমা হচ্ছে আমার কলিজার টুকরা এবং সে যা ঘৃণা করে; আমিও তা ঘৃণা করি এবং তাকে যা কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৫০)
@@@@@কুরআনুল কারীমের আয়াত আর হাদীস শরীফের হাদীস, সব গুলো প্রয়োজনের মুহূর্তে, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয়।
সুতরাং সেই প্রেক্ষাপট ও সঠিক ব্যাখ্যা ছাড়া শুধু শাব্দিক অর্থ পড়ে কুরআন ও হাদীস পড়লে সে গোমরাহ-পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।
অতএব আমরা প্রথমে উক্ত হাদীসের ব্যাখা জানবো তাহলে আমাদের প্রশ্নের উত্তর চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।
আর বুখারী শরীফের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাগ্রন্হ হলো "ফাতহুল বারী" আমি সেই ব্যাখ্যা গ্রন্থ হতে হুবাহু উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো----------------
**** হাদীসের বাব কায়েম করা হয়েছে-কন্যার মধ্যে ঈর্ষা সৃষ্টি হওয়া থেকে বাধা প্রধান এবং তার প্রতি ইনসাফ তালাশ করা।
১) ইবনে হিশাম এর বর্ণনায় এসেছে-"তারা নিজেদের মেয়ে কে আলী রা.এর নিকট বিবাহ দেওয়ার জন্য অনুমতি চাইলো।
২)আলী ইনবে হুসাইন থেকে জুহরী রা.বর্ননা করেন- ফাতেমা রা.স্ত্রী থাকা অবস্থায় আলী রা.আবু জাহেলের মেয়ে কে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন।ফাতেমা রা.তা শুনে রাসুল সা.কে জানান,যে লোকেরা এরুপ আলোচনা করছে।(ইবনে শুয়াইব এর বর্ননা)
৩) সহিহ ইবনে হিব্বান এর বর্ননা হলো- ফাতেমা রা.এর নিকট গঠনা পৌছলে তিনি রাসুল সা.কে বলেন-লোকেরা বলছে যে আপনি আপনার কন্যার উপর রাগ করেন না,আর এদিকে আলী রা.আবু জাহেলের মেয়ে কে বিবাহ করছে।
@@@ এসব বর্ননা দ্বারা বুঝা যায় -বুখারী শরীফের বর্ণনায় ঐ সকল লোক যারা অনুমতি চেয়েছিল,তারা হলো বনু হাশেম তথা আবু জাহেলের মেয়ের চাচারা ছিলো।
*****আর এসকল পরিপেক্ষিতে হাদীস টি বর্ননা হয়।
অর্থাৎ ----
@@@@আমি অনুমতি দিবো না (৩বার)
তবে যদি সে আমার মেয়ে কে তালাক দিয়ে তাদের মেয়েকে বিবাহ করে (তাহলে অনুমতি দিবো)
*** মুসলিম শরীফসহ অনন্য বর্ণনায় হাদীস টি আরো এসেছে- আমি হালাল কে হারাম আর হারাম কে হালাল করতে পারি না।তবে আল্লাহর কসম আল্লাহর রাসুল সা.এর মেয়ে আর আল্লাহ তাআলার শত্রুর মেয়ে একত্রিত করবো না।
*** ইবনে তাইনি রহ.বলেন- ইহা দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায় যে-নবী সা.আলী রা.এর জন্য তার মেয়ে এবং আবু জাহেলের মেয়ে কে একত্রিত করতে নিষেধ করেছেন।
কারণ -হাদীসের শেষে বলেন,তাকে যা কষ্ট দেয় আমাকেও তা কষ্ট দেয়।
***রাসুল সা.এর বানী"আমি হালাল কে হারাম করতে পারি না" অর্থাৎ ফাতেমা রা.না থাকলে তার জন্য তাদের মেয়ে হালাল এখন ফাতেমা রা.কে যা কষ্ট দেয় তা নবী কে কষ্ট দেয়, সেজন্য জমা করা নিষেধ।
@@@@@হাদীসের উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেলো আলী রা.কে কেন নিষেধ করেছিলেন@@@@@@@
(১) ইসলামি শরীয়তে দ্বিতীয় বিয়েতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি আবশ্যক নয়। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন। এটি জায়েজ রয়েছে।
এটি জায়েজ থাকলেও ইনসাফ করতে পারবেন কি না,(অর্থনৈতিক বিষয় সহ সকল বিষয়ে)
সে বিষয়টি অবশ্যই ভাবতে হবে আর ইনসাফ করার এই কাজটিই হচ্ছে প্রথম ওয়াজিব। এরপর বিয়ের বিষয়টি আসবে।
অর্থাৎ যদি ইনসাফ করতে না পারে তাহলে একাধিক বিবাহ করার অনুমতি থাকলেও ২য় বিবাহ করা যায়েজ নেই।
------ সুতরাং রাসুল সা.ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকার কারনে তৎক্ষনাৎ তাকে বাধা দিয়েছেন।
২) যেহেতু মেয়েটি ছিলো আল্লাহ তাআলার শত্রু আবু জাহেলের মেয়ে অপর দিকে আল্লাহ তাআলার হাবীব - সর্বশেষ রাসুল সা.এর মেয়ে, ঐ অবস্থায় পিতাদের সম্মান রক্ষার্থে নিষেধ করা হয়েছে। যা হাদীসের পরবর্তী অংশ দ্বারা বুঝা যায়, অর্থাৎ একাধিক বিবাহ করার অনুমতি আছে তবে সেক্ষেত্রে তার (রাসুলের সা.)মেয়ে কে তালাক দিতে হবে, এ কারনে তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
(৩)কেউ কেউ বলেন-নিজ জামাতা আলী রা.কে বাধা দেওয়া টা এটা একমাত্র রাসুল সা.এর বৈশিষ্ট্য ছিলো,আর একজন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুলের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে।
(৪) কেউ কেউ বলেন-ইহা ফাতেমা রা.এর বৈশিষ্ট্য ছিলো,আর তা হয়েছে গাইরতের কারনে।
এজন্য ইমাম বুখারী রহ.উক্ত হাদীসের বাব (অধ্যায়) প্রতিষ্ঠা করেছেন-কন্যার মধ্যে ঈর্ষা(গাইরত) সৃষ্টি হওয়া।
***** ***********************--**----***আর ইসলামি শরীয়তে গাইরাত,আত্মমর্যাদাবোধ একজন ব্যক্তির প্রকৃত ব্যক্তিত্ব সমুন্নতকারী।
***কুরআন -হাদীস সহ মনিষীর এব্যাপারে বিশাল বর্ণনা এসেছে ঃ-
@@ নিম্নে সামান্য তুলে ধরা হলোঃ-
(ক) আল-কুরআনুল কারীম :
1. يَقُولُونَ لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَلَكِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَعْلَمُونَ-
(১) ‘তারা বলে, আমরা যদি মদীনায় ফিরতে পারি, তাহ’লে নিশ্চয়ই সম্মানিতরা নিকৃষ্টদেরকে সেখান থেকে বের করে দেবে। অথচ সম্মান তো কেবল আল্লাহর ও তঁার রাসূলের এবং মুমিনদের জন্য কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না’ (মুনাফিকুন ৬৩/৮)।
2. مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْعِزَّةَ فَلِلَّهِ الْعِزَّةُ جَمِيعًا إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ وَالَّذِينَ يَمْكُرُونَ السَّيِّئَاتِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ وَمَكْرُ أُولَئِكَ هُوَ يَبُورُ-
(২) ‘যে ব্যক্তি সম্মান চায়, সে জেনে রাখুক যে, আল্লাহর জন্যই রয়েছে সকল সম্মান। তঁার দিকেই অধিরোহন করে পবিত্র বাক্য। আর সৎকর্ম তাকে উচ্চ করে। পক্ষান্তরে যারা মন্দকর্মের চক্রান্ত করে, তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে’ (ফাতির ৩৫/১০)।
3. الَّذِينَ يَتَّخِذُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ أَيَبْتَغُونَ عِنْدَهُمُ الْعِزَّةَ فَإِنَّ الْعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا-
(৩) ‘যারা মুমিনদের ছেড়ে কাফিরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি তাদের কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে? অথচ যাবতীয় সম্মান কেবল আল্লাহর জন্য’ (নিসা ৩/১৩৯)।
(খ) রাসুল সা.এর হাদীছে নববী :
4). عَنْ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا لَيْلاً. قَالَتْ فَغِرْتُ عَلَيْهِ فَجَاءَ فَرَأَى مَا أَصْنَعُ فَقَال مَا لَكِ يَا عَائِشَةُ أَغِرْتِ. فَقُلْتُ وَمَا لِى لاَ يَغَارُ مِثْلِى عَلَى مِثْلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقَدْ جَاءَكِ شَيْطَانُكِ. قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَ مَعِىَ شَيْطَانٌ قَالَ نَعَمْ. قُلْتُ وَمَعَ كُلِّ إِنْسَانٍ قَالَ نَعَمْ. قُلْتُ وَمَعَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ نَعَمْ وَلَكِنْ رَبِّى أَعَانَنِى عَلَيْهِ حَتَّى أَسْلَمَ.
(৪) নবী করীম (ছাঃ)-এর স্ত্রী আয়েশা ছিদ্দীকা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক রাতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার নিকট থেকে বের হলেন। তিনি বলেন, এতে আমার মনে কিছুটা ঈর্ষা জাগল। অতঃপর তিনি এসে আমার অবস্থা দেখে বললেন, হে আয়েশা! তোমার কি হয়েছে? তুমি কি ঈর্ষা পোষণ করছ? উত্তরে আমি বললাম, আমার মত মহিলা আপনার মত স্বামীর প্রতি কেন ঈর্ষা করবে না? এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমার শয়তান কি তোমার নিকট এসে উপস্থিত হয়েছে? তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সাথেও কি শয়তান রয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ নিশ্চয়ই। অতঃপর আমি বললাম, প্রত্যেক মানুষের সাথেই কি শয়তান রয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সাথেও কি রয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমার সাথেও। তবে আল্লাহ তা‘আলা তার মুকাবিলায় আমাকে সহযোগিতা করেছেন। এখন তার ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ নিরাপদ।[1]
5). عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ يَغَارُ وَإِنَّ الْمُؤْمِنَ يَغَارُ وَغَيْرَةُ اللَّهِ أَنْ يَأْتِىَ الْمُؤْمِنُ مَا حَرَّمَ عَلَيْهِ-
( ৫) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় আত্মমর্যাদাবোধ প্রকাশ করেন এবং মুমিনগণও স্বীয় আত্মমর্যাদা প্রকাশ করে। আল্লাহর আত্মমর্যাদায় আঘাত আসে যখন মুমিন আল্লাহ কর্তৃক হারাম কর্মে অগ্রসর হয়।[2]
(গ) আকাবির মনীষীদের বক্তব্য :
১. ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, আত্মমর্যাদাবোধ হলো প্রতিযোগিতামূলক কাজে মনের আবেগ ও ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণাধীন রেখে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার মাধ্যমে নিজের বৈশিষ্ট্য তথা আত্মমর্যাদাকে ফুটিয়ে তোলা। বিশেষ করে দু’জন স্ত্রীর মাঝে বিষয়টি বেশী পরিলক্ষিত হয়। মূলতঃ এটি আদম সন্তানের নিজস্ব অধিকার আদায়ের সৃষ্টিগত প্রক্রিয়া’।[6]
২. জনৈক মনীষী বলেন, যার গাইরাত তথা আত্মমর্যাদাবোধ নেই তার কোন সম্মান নেই।[7]
৩. ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, গাইরাত বা আত্মমর্যাদাবোধ হলো মানবীয় গুণের পূর্ণাঙ্গতার প্রতীক।[8]
৪. কাফাবী (রহঃ) বলেন, আত্মমর্যাদা হ’ল অন্যের বৈধ অধিকারে হস্তক্ষেপ না করা, যা ব্যক্তির মধ্যে অসন্তোষের উদ্রেক করে।[9]
৫. ইবনু হাযাম (রহঃ) বলেন, আত্মমর্যাদা সমুন্নত হলে ভালবাসা সমুন্নত হয়।[10]
*******তথ্য সুত্র----
1]. মুসলিম হা/২৮১৫; মিশকাত হা/৩৩২৩।
[2]. বুখারী হা/৫২২৩; মুসলিম হা/২৭৬১।
[3]. বুখারী হা/৭৪১৬; মিশকাত হা/৩৩০৯।
[4]. বুখারী হা/১০৪৪; মিশকাত হা/১৪৮৩।
[5]. বুখারী হা/৩২৪২; ইবনু মাজাহ হা/১০৭।
[6]. ফাৎহুল বারী ৯/৩২০ পৃ.।
[7] . মুহাযারাতুল উদাবা ২/২৫৫ পৃ.।
[8] . শারহু নববী আলা ছহীহ মুসলিম ৪/১২৫ পৃ.।
[9] . আল-কুল্লিয়াত ৬৭১ পৃ. ।
[10]. মুদাউয়াতুন নুফুস ১/৫৫ পৃ.।
@@@ উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্ট হলো যে-ইহা ফাতেমা রা.এর বৈশিষ্ট্য ছিলো, যে কারনে রাসুল সা.অনুমতি দেন নি।
****** আশা করি এসকল আলোচনা দ্বারা আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
@@@@@ সর্বশেষ আমার কথা হলো রাসুল সা. ও নিজ জামাতা আলী রা. তারা হলেন আহলে বাইত,
সুতরাং তাদের নিজ পরিবারের মাঝে কোন বিষয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন উঠার কথা নয়।
হা,যদি বিষয় টি এমন হত -যে রাসুল সা.একাধিক বিবাহ করেছেন কিন্তু ইসলামি শরীয়তে মুসলমানদের জন্য একাধিক বিবাহের অনুমতি দেন নি তাহলে প্রশ্ন করা যেত।
এখন আমাদের মুসলমানদের জন্য তো ইসলামি শরীয়ত একাধিক বিবাহের অনুমতি দিয়েছেন, তাহলে পারিবারিক বিষয়ে কথা আমার কেন প্রশ্ন জাগবে।
******-আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল কে হেদায়েত দান করুন, আমিন।
--------------লেখকঃ-
@@
মুফতি শরীফুল ইসলাম
Gmail.....
muftimohammadsharifulislam@gmail.com
যে কোন প্রয়োজনে Social Media য় যোগাযোগ করুন।
Fb (mufti shariful islam)
Fb Group (online bangla madrasa)
Fb Page(online bangla madrasa)
Twitter (online Bangla madrasa)
Youtube (online bangla madrasa)
Websites (online Bangla madrasa)
@@@@ প্রশ্নের ছবি টি
No comments:
Post a Comment