সর্বশেষ সংবাদ

Post Top Ad

Your Ad Spot

Tuesday, May 12, 2020

বাসা/বাড়িতে যেভাবে পরিবারের সাথে জামাতে নামাজ আদায় করবেন।

পরিবারের সাথে তথা স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যেভাবে বাসায়/বাড়িতে নামাজ পড়বেন।

@@@ইসলামিক ডেস্কঃঃঃ
-  করোনাভাইরাসের কারণে বাসায় নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে একাকী নামাজ আদায় না করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আদায় করা উত্তম। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে কিভাবে নামাজ পড়বেন, নিয়ম কি হবে সেটা জানেন না অনেকেই।
@@@  মসজিদের আযানের পর জামাত শুরু করবে ৷ তবে নামাযের সময় হয়ে গেলে নিজেরাও বাড়িতে আযান দিয়ে জামাত পড়তে পারবে ৷
@@@ পুরুষের জন্য যেমন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায় করা জরুরি, তেমনি মহিলাদের জন্য ঘরে একা নামাজ পড়াই শরিয়তের বিধান। 
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে মহিলাদের পর্দার প্রতি অত্যধিক তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
@@@ ঘরের জামাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ : 
ফরজ নামাজের জন্য জামাতের নির্দেশ কেবল পুরুষদের জন্য। নারীদের ওপর জামাতের কোনো নির্দেশ নেই। তাই নারীরা ঘরে একত্রিত হয়ে পুরুষ বা মহিলা ইমাম বানিয়ে জামাত করাও শরিয়ত নির্দেশিত নয়। এর প্রতি উৎসাহিতও করা হয়নি। 
হ্যাঁ, যদি তারা পুরুষ ইমামের পেছনে নামাজ পড়ে নেয়, তাহলে ওই নামাজ শুদ্ধ হবে। এ ক্ষেত্রে নারীদের পর্দার বিধান লঙ্ঘন না হলে ঘরে এ ধরনের জামাত বৈধ। (তাবঈনুল হাকায়েক : ১/১৩৫, ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৩/৪৩)

@@@ মাহরাম নারীদের নিয়ে ঘরে জামাত করা :
যদি কোনো পুরুষ শরিয়ত অনুমোদিত কোনো ওজরবশত মসজিদে যেতে না পারে, তাহলে তার জন্য ঘরের মাহরাম নারীদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়া বৈধ। এ ক্ষেত্রে সবাই জামাতের সাওয়াব পাবে। কিন্তু গায়রে মাহরাম নারীদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়া সমীচীন নয়।
তা সত্ত্বেও গায়রে মাহরাম নারীরা তাতে শরিক হতে চাইলে অবশ্যই পর্দার আড়ালে থাকবে। পর্দার বিধান লঙ্ঘন করে জামাত করা বৈধ নয়। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২২৮, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ২/২২৭)

@@@ এ ক্ষেত্রে জামাতে দাঁড়ানোর বিভিন্ন পদ্ধতি আছেঃ- যে পদ্ধতি অনুযায়ী না দাড়ালে (পরিবারে মহিলা থাকার কারনে) নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।
@@@ইউটিউবে আমাদের চ্যানেল #OnlineBanglaMadrasa  সেখানে এ নিয়ে একটি ভিডিও আছে, দেখে আসতে পারেন- যে তখন কে কোথায় দাঁড়া।। 
® ভিডিও টির লিংক ক্লিক করুন  ঃ- 

@@@ ইসলামী শরিয়তে শুধু নারীদের জামাত বৈধ নয় : 
ঘরে বা অন্য কোথাও নারীরা একত্রিত হয়ে নারী ইমাম বানিয়ে নামাজের জামাত করা মাকরূহে তাহরিমি তথা নাজায়েজ। যদিও জামাতে আদায়কৃত ওই নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে, তবে তারা সবাই গোনাহগার হবে। তা সত্ত্বেও নারীরা আলাদা জামাত করলে ইমাম সাহেবা কাতারে সবার সামনে দাঁড়াবেন না, বরং প্রথম কাতারের মাঝখানে দাঁড়াবেন। (তাবঈনুল হাকায়েক : ১/১৩৫, ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৩/৪৩) @@@ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জামানায় তাঁর স্ত্রীগণ একত্রিত হয়ে জামাতে নামাজ আদায় করার কোনো প্রমাণ হাদিস শরিফে পাওয়া যায় না।
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘কোনো নারী জামাতের ইমামতি করতে পারবে না। ’ অনুরূপ তাবেঈ হজরত ইবরাহিম নাখয়ি, ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ, রবিআ ও ইবনে শিহাব জুহরি (রহ.) প্রমুখ থেকে তা বর্ণিত হয়েছে। (আলমুদাওয়ানাতুল কোবরা : ১/১৭৮)
শিব্বির আহমদ উসমানি (রহ.) বলেন, হাদিসটির সূত্র বিশুদ্ধ। (ইলাউস সুনান : ৩/১৩০১)
@@@ নারীদের জামাতে আজান-একামত : নারীদের জামাত যেহেতু মাকরুহ, তাই তাতে আজান-একামত দেওয়াও মাকরুহ। (মাবসুতে সারাখসি : ১/১৩৩
&@@ আল্লাহ তাআলা আমাদের কে বিষয় টি পালন করার তাওফিক দান করুন, আমিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages