পবিত্র মাহে রমজান আমাদের সন্নিকটে, আসুন রমজানের শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি জেনে নেই।
@@@ আল্লাহ তাআলার লাখো -কোটি শুকরিয়া যে তিনি আমাদেরকে গত রমজান থেকে এ রমজান মাসের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত প্রায় দীর্ঘ এক বছর হায়াত দান করেছেন, এ জন্য শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ।
শাবান মাসের প্রায় শেষ দিকে, তারপরেই আগমন করছে, মহিমান্বিত সেই পবিত্র রমজান মাস।
মহিমান্বিত এ মাসকে স্বাগত জানাতে,তাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে পূর্ণ আত্মশুদ্ধি অর্জন করার জন্য নিজেকে এখমই প্রস্তুত করে নিতে হবে।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতেন, আর রজবের চাঁদ দেখা মাত্রই রমজান মাস পাওয়ার আশায় বিভোর থাকতেন,
সাহাবায়ে কেরাম রা.শাবান মাসের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে অধিক পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত শুরু করতেন, ব্যবসায়ী সাহাবীরা হিসাব-নিকাশ করে যাকাত প্রদানের প্রস্তুতি নিতেন।
@ রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই রজব মাস থেকেই আবেগভরে আল্লাহ তাআলার দরবারে পার্থনা করে দোয়া করতেন।
"আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান ও বাল্লিগনা রমাদান "
অর্থঃ- হে আল্লাহ আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের হায়াত বৃদ্ধি করে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।
@@@ আল্লাহ তাআলা খাস বান্দারা রাসুল সা. ও তার সাহাবীদের অনুসরণ করে নিশ্চয়ই সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বরকতময় এ মাস কে কাজে লাগানোর জন্য।
@@@ আমরা যারা আল্লাহ তাআলার নিকট না চাইতে মহিমান্বিত রমজানের কাছে চলে এসেছি, কিন্তু এখনো প্রস্তুতি নিতে পারেনি, তাদের জন্য বিরাজমান এই পরিস্থিতিতেই কিভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিব সে সম্পর্কে সামান্য আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
আমরা রমজানের জন্য এখন থেকেই ত্যাগের প্রস্তুতি নিব,ভোগের প্রস্তুতি নিব না। কারণ আমরা রমজানের প্রস্তুতি বলতে বুঝি, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে কাজেই খেজুর, চাল,ডাল ইত্যাদি কিনে নিয়ে জন্য খাদ্য মজুদ করে রাখা কে, এটাকে রমজানের প্রস্তুতি বলে না।
কারণ সাউম অর্থ হল ত্যাগ তথা খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি পরিত্যাগ করা কে, তবে এর দ্বারা আগে বাজার করা যাবেনা, একথা বুঝানো উদ্দেশ্য নয় বরং দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো উদ্দেশ্য, কারণ এই রমজানে আমার উদ্দেশ্য থাকতে হবে কিভাবে আল্লাহ তা'আলার বান্দা হতে পারব না,নিজের সব গুনাহ মাফ করাতে পারবো তা, কেননা এই রমজান মাসকে কেন্দ্র করে জিবরাইল আ. একটি বর দোয়া করেছিলেন, যে বদদোয়ায় সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল, আল্লাহর হাবীব, মসজিদে নববীর মেহরাবে বসে আমিন বলেছিলেন, সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,জিবরাইল আ. বদ দুআ করলেন, যে ব্যক্তি রমজান পেল কিন্তু নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না সে ধ্বংস হোক, আমি বললাম, আমিন।
@@@ এজন্য আসন্য রমজান যেন, আমাদেরকে জন্য গজব বা লাআনতের না হয়, বরং রহমত,নাজাত ও মাগফিরাতের হয়, সেজন্য আমরা নিম্নের প্রস্তুতি গুলো নিতে পারি।
(১) তাওবা-ইস্তেগফারের অভ্যাস গড়ে তোলা।
(২) রমজানের আগমনে আনন্দিত হওয়া।
(৩)পিছনের কাজা রোজা গুলো হতে দায় মুক্ত হওয়া।
(৪) রমজানের জরুরি মাসলা গুলো জেনে লওয়া।
(৫) রমজানে হালাল খাবারের ফিকির করা।
(৬) বেশি,বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা।
@@@ বি.দ্র. উক্ত আমল গুলো বিস্তারিত দলীল সহ জানার জন্য এই
https://youtu.be/zZLZ1Z-5EbAলিংক এ ক্লিক করে Youtube থেকে দেখে আসুন।
@@@ লেখকঃ- মুফতি শরীফুল ইসলাম
ছাত্র ঃ- বড় কাটারা মাদ্রাসা, ঢাকা।
No comments:
Post a Comment