সর্বশেষ সংবাদ

Post Top Ad

Your Ad Spot

Saturday, April 18, 2020

দারুল উলুম দেওবন্দ ও আল্লামা তকী ওসমানীর মতবিরোধের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা বন্ধ করুন। মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানী দা.বা.



দারুল উলুম দেওবন্দ ও আল্লামা তকী ওসমানীর মতবিরোধের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা বন্ধ করুন।

@@@ দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে বর্তমান সঙ্কটকালে জুমুয়া ও জামায়াত এর ব্যাপারে দলিল ভিত্তিক ফতোয়া এসেছে।

 ক--জুমুয়ার জামাতের শর্ত পূরণ করতে পারলে এবং সরকারি আইন বিধি লঙ্ঘন না করে মসজিদের বাইরে জুমার জামাত পড়ার অবকাশ আছে। অর্থাৎ , পড়লে শুদ্ধ হয়ে যাবে।

খ-জুমুয়ার শর্ত পূরণ করতে না পারলে ঘরে জোহরের নামাজ পড়বে । যোহরের নামাজ জামাতের সাথে পড়া যাবে । আবার একা একাও পড়া যাবে।
@@@ এই বিষয়গুলো সহ মোট পাঁচটি ধারায় বিস্তারিতভাবে সংশ্লিষ্ট মাসলা-মাসায়েল বর্ণনা করেছে দারুল দেওবন্দের ফতোয়াতে । ফতোয়ার আলোকে গোটা ভারতে , গোটা বিশ্বে আমল চলছে । সেখানে উভয় মতকেই শুদ্ধ বলা হয়েছে। আর অবস্থাভেদে ভিন্ন ভিন্ন মাসালা বলা হয়েছে।

এখন আল্লামা তকী ওসমানীর নামে এই মহা দুর্যোগের সময়-- উত্তম এবং অধিক উত্তম --এর এখতিলাফি বিষয় পাবলিকের সামনে এভাবে ফেসবুকে প্রচার করার ফলাফল কি ?
আল্লামা তকী উসমানী ভিন্নমত দিলেও তিনি তো বলেননি যে , আমারটাই শুদ্ধ । তিনি বলেছেন এটা অধিক উত্তম । তাহলে দারুল উলুম দেওবন্দের মতকে তিনি উত্তম বলেছেন।
অথচ , ফেসবুকের প্রচারণার কারণে মানুষের মাঝে ধারণা জন্মেছে যে , আল্লামা তকী উসমানী দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়ার বিপরীত ফতোয়া দিচ্ছেন। অথচ আজ পর্যন্ত বর্তমান করুণা সংকটকালে আল্লামা তকী উসমানী এই বিষয়ে লিখিত কোন নতুন ফতোয়া দেন নি। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে আলোচনার মাধ্যমে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন। যা কেউ টাইপ করে প্রচার করেছে।

আল্লামা মিজান সাঈদ সাহেব কেন এই বিষয়গুলো ফেসবুকে প্রচার করছেন , তা সচেতন ওলামায়ে কিরাম বুঝতে পারছেন না। আল্লামা তকী ওসমানীর হোয়াটসঅ্যাপে বলা মাসাআলা এবং তার সাথে ফোনের রেকর্ডিং প্রচার করছেন।আল্লামা তকী উসমানীর শিষ্য আরো অনেকেই ঢাকায় আছেন। যেমন আল্লামা আব্দুল মালেক সাহেব, আল্লামা দেলোয়ার সাহেব , মুফতি মাওলানা হিফজুর রহমান সাহেব। তারা তো পারতেন দারুল উলুম দেওবন্দের খেলাফ এই উত্তম ও অতি উত্তম এর মাসালা প্রকাশ করতে ।কিন্তু তারা তা করেননি । করলেও আলেমদের মাঝে করেছেন। ফেসবুকে পাবলিকের সামনে করেননি।
এর মাধ্যমে আমাদের উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দ কে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। কেউ যদি যদি তাহকীক চর্চা করতে চান , তাহলে সেটা কেবলই ওলামায়ে কিরামের মাঝে চর্চা করুন।
কোন কোন অসচেতন আলেম নিজের এলেম প্রকাশ এবং মানুষের মাঝে প্রভাব সৃষ্টি করার জন্য পাবলিকের সামনে এই বিষয়গুলো নিয়ে আসছেন ।
সেদিন দেখলাম এই আল্লামা মিজান সাঈদ সাহেব ফেসবুক লাইভে সরকারের বেঁধে দেওয়া পাঁচজন এবং জুমার নামাজে 10 জন মুসল্লির উপস্থিতির বিষয়ে সরকারি নির্দেশনাকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখছেন। অথচ এসব কার্যকলাপ দ্বারা উম্মতের কত বড় ক্ষতি হচ্ছে , তা কি ভেবে দেখেছেন???
--মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানী
এর বিশেষ সাক্ষাতকার হতে।
১৬-৪-২০২০

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages