এবার হাইয়াতুল উলইয়া কর্তৃপক্ষ প্রশ্নফাঁস রোধে নিয়েছেন বিকল্প ব্যবস্থা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্ন পৌঁছাবেন সকল মারকাজের নেগরানে আ’লার কাছে।এই নিয়মেই হবে আগামীর পরীক্ষা গুলো। মুফতি শরীফুল ইসলাম
আজ সকাল ৭ টা ৩৫ মিনিট)
জানান হয়, আজকের প্রশ্ন এখনো (তৈরি হয়নি। কাজ চলছে। তবে আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়ে যাবে। এরপর পিডিএফ করে আমরা সবার কাছে প্রশ্ন পৌঁছে দিবো।
আর পরীক্ষা প্রধানগণ প্রশ্ন পাওয়ার পর মাত্র ৩০ মিনিটে ছাত্রদের হাতে কিভাবে প্রশ্ন পৌঁছাবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, যদি পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঝে প্রিন্ট করার ব্যবস্থা থাকে. তাহলে প্রিন্টের অনুমতি আছে। তবে বাইরে প্রিন্ট করার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া বোর্ডে লিখে পরীক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্ন দিতে পারবে। পূর্বের যুগে যখন কোনো ডিজিটাল কিছু ছিলো না তখনকার মতো ইমলা করানো যেতে পারে। তবে এ প্রক্রিয়াটি পরীক্ষামূলক করা হচ্ছে।
সামনের পরীক্ষাগুলোতে আজকের পদ্ধতিই অবলম্বনের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আছে। যদি এ পদ্ধতিতে প্রশ্নফাঁস না হয় তাহলে সামনের গুলোতেও এমনটা করা যেতে পারে।
প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকারী টিম সকাল সাতটায় বসবে প্রশ্ন তৈরির জন্যে। প্রশ্ন তৈরি করে ঠিক নয়টায় ইমেইলের মাধ্যমে কেন্দ্রের জিম্মাদারের কাছে পাঠানো হবে। ছাত্ররা এর আগে ৮.৪৫ মিনিটে হলে প্রবেশ করবে।
কেন্দ্রের জিম্মাদার এটি সাথে সাথে প্রিন্ট করে বিতরণ করবেন। প্রিন্ট করতে যতক্ষণ ব্যয় হবে ততক্ষণ ছাত্রদেরে অতিরিক্ত দিয়ে দেওয়া হবে।
এই পদ্ধতিতে ফাঁস হওয়ার
কওমি মাদ্রাসাগুলোর সরকারি বোর্ড আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে চলমান দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠে।
সনদের সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দুবার ফাঁস হওয়া নিয়ে হোঁচট খায় এ সংস্থাটি।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে চলে অনলাইনে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে দাওরায়ে হাদিস জামাতের (বৃহস্পতিবার) আবু দাউদ শরিফের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
বৈঠকে আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারাই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন আগামী বিষয়গুলোর পরীক্ষা ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য যে :এর আগে বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস পরিচালিত ফরিদাবাদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বড় মাদ্রাসায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ কারণ কেন্দ্রীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ‘আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ চলমান দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো গত ২৩ এপ্রিল থেকে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হয়।
সনদের সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে হোঁচট খেয়েছিল এ সংস্থাটি।
ফলে গত ১২ এপ্রিল সকালে ঢাকার মতিঝিলে কার্যালয়ে সংস্থাটির কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে পরবর্তী সব পরীক্ষা স্থগিত ও অনুষ্ঠিত সব পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে নতুন তারিখ ঘোষণা হয়।
ওই দিন শনিবার বোর্ডের জরুরি বৈঠকে প্রশ্নফাঁসের উৎস খুঁজতে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান মুফতি রুহুল আমিনকে সভাপতি করে এ কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বেফাক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ও মাওলানা মাহফুজুল হক।
প্রসঙ্গত জাতীয় সংসদে ‘কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের সনদকে আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল-২০১৮’ পাস করার পর প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
চলতি বছরে দেশের ৬টি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রায় ২৬ হাজার ৭২১ শিক্ষার্থীর আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা আরম্ভ হয়ে ১৮ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল ২০১৭ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষা সনদের মান ঘোষণা করার পর হাইআতুল উলইয়া অধীনে ৬ বোর্ডের সম্মিলিত দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা ইতোপূর্বেও দুবার (১৬-১৭ ও ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment